আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নাগরনদ থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের অভিযোগে চার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ৪ দিন অতিবাহিত হলেও কোন আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে কুন্দগ্রাম ইউনিয়নবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এবং অবিলম্বে তারা আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছে। জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বগুড়ার দুপচাঁচিয়া শাখা অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার ৪ দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। মামলায় এজাহাভুক্ত আসামিরা হলো- আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রামের ছামছুল হুদা খন্দকারের ছেলে শামিমুল ইসলাম, তার ভাই শাহিনুর হুদা, মোজাম্মেল হকের ছেলে রুহুল আমিন ও আবুল হোসেনের ছেলে আজাহার হোসেন রাজা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে আদমদীঘির কুন্দগ্রাম, চাঁপাপুর, দুপচাঁচিয়া ও কাহালু এলাকাজুড়ে নাগর নদের বাঁধ রক্ষার জন্য প্রায় ৫০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। ওই বাঁধের কুন্দগ্রাম ও চাঁপাপুর এলাকায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নগর নদের তলার গভীর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও মাটি কেটে নেয়ায় বাঁধ ও বাঁধে বনায়ন প্রকল্পের গাছ বর্ষা মৌসুমে হুমকির মুখে পড়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত কয়েক দফায় অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের বেশ কিছু সরঞ্জাম জব্দ ও পুড়ে ফেলেন তারপরও ওই চক্রটি বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি।
এলাকাবাসী অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাপাউবো কর্তৃকপক্ষ ঘটনাস্থল সরজমিনে গিয়ে দেখে উল্লেখিত ব্যক্তিসহ অজ্ঞাত আরোও কয়েক জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামী শামিমুল, শাহিন ও রুহুল আমিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা নাগরনদ থেকে কোন প্রকার বালু উত্তোলন করেননি বলে দাবি করেছেন।এ ব্যাপারে আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন মামলা দায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।