স্পোর্টস ডেস্ক : খাদের কিনারা থেকে দলকে উদ্ধার করে কীভাবে জেতাতে হয়, সতীর্থদের মুখে হাসি ফোটাতে হয়, ভক্ত-সমর্থকদের রাতের ঘুমে স্বস্তি আনতে হয় সব সাকিব আল হাসান জানেন।
জিততে হলে চাই ২৪১ রান। এই রান তাড়ায় সতর্ক শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস ভালোভাবেই এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। কিছুক্ষণ পর তামিম সাজঘরে ফিরলে সে ধারাবাহিকতায় বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এক পর্যায়ে মনে হয়েছিল হারতে পারে লাল-সবুজের দল। এই বিপর্যয় থেকে অনেকটা একা দলকে এগিয়ে নিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন সাকিব আল হাসান।
সাকিব আল হাসানের চমৎকার ব্যাটিং দৃঢ়তায় দীর্ঘদিন পর জিম্বাবুয়ের মাটিতে সিরিজ জয়ের সাফল্য পায় বাংলাদেশ।
প্রায় এক যুগ পর জিম্বাবুয়ের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের মাটিতে শেষ সিরিজ জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এর পর ২০১১ ও ২০১৩ সালে হেরেছিল।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ জয় পায় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে ১৫৫ রানের বড় ব্যবধানে হারায় লাল-সবুজের দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে : ৫০ ওভারে ২৪০/৯ (কামুনহুকামউই ১, মারুমানি ১৩, চাকাভা ২৬, টেইলর ৪৬, মায়ার্স ৩৪, মাধেভেরে ৫৬, রাজা ৩০, জঙ্গুয়ে ৮, মুজারাবানি ০, চাতারা ৪*, এনগারভা ৭*; তাসকিন ১০-০-৩৮-১, সাইফ ১০-০-৫৪-১, মিরাজ ৭.২-০-৩৪-১, শরিফুল ১০-০-৪৬-৪, সাকিব ১০-০-৪২-২, সৈকত ১.৪-০-৭-০, আফিফ ১-০-১১-০)।
বাংলাদেশ : ৪৯.১ ওভারে ২৪২/৭ (তামিম ২০, লিটন ২১, সাকিব ৯৬*, মিঠুন ২, মোসাদ্দেক ৫, মাহমুদউল্লাহ ২৬, মিরাজ ৬, আফিফ ১৫, সাইফ ২৮*; মুজারাবানি ৯.১-১-৩১-১, চাতারা ৭-১-৫২-০, জঙ্গুয়ে ৮-০-৪৬-২, এনগারাভা ৯-১-৩৩-১, মাধেভেরে ১০-০-৩৯-১, রাজা ৬-০-৩৩-১)।
ফল : বাংলাদেশ তিন উইকেটে জয়ী।
এম কে
