ঢাকা : বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আকস্মিক পরিদর্শনে যান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হামিদুর রহমান। বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সেবা কিভাবে বৃদ্ধি করা যায়, বিদ্যমান ব্যবস্থাপনা সরেজমিন দেখতে তার এ পরিদর্শন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বোর্ডের পরিচালক মুশাররাত জেবিন, উপ-পরিচালক জাহিদ আনোয়ার, উপসহকারী পরিচালক নাজমুল হক, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহকারী পরিচালক ফকরুল আলম।
মহাপরিচালক প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের কার্গো শাখা, বহির্গমন ও আগমন এবং প্রধান ডেস্ক পরিদর্শন করেন। তিনি সেবা প্রদান সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত হন এবং কতিপয় নির্দেশনা দেন।। কার্গো শাখায় মৃতের পরিবার লাশ গ্রহণ করতে এসে বসার স্থান না থাকায় বাহিরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করার বিষয়টি দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের উপ-পরিচালক জাহিদ আনোয়ার এ প্রতিবেদককে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক আকস্মিক পরিদর্শনে যান বোর্ডের মহাপরিচালক। মূলত বিমানবন্দরে আমাদের প্রবাসী কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা এবং তাদের জন্য ঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা রয়েছে কিনা- সেটা পর্যবেক্ষণ করতেই এই আকস্মিক পরিদর্শন।
মহাপরিচালক প্রবাসী কর্মীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ককে আরো শক্তিশালী ও দৃশ্যমান করতে সবকিছু করা হবে বলে জানান।
জাহিদ আনোয়ার আরো বলেন, মহাপরিচালক পরিদর্শনের সময় জানতে পারেন সকালের ফ্লাইটে এক নারী কর্মী ওমান থেকে দেশে ফিরেছেন। তিনি বিমান বন্দরে অবস্থান করছেন। তিনি ঐ নারীর সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ঐ নারীকে অনেক ক্লান্ত ও বিমর্ষ দেখা যাচ্ছিল। কথা বলে জানা গেল, ওমান থেকে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তার বাড়ী সাতক্ষীরার শ্যমনগর উপজেলার শ্রিফলকাঠি গ্রামে। তাকে নিতে তার গ্রামের বাড়ি থেকে কোনো লোকজনও আসেনি। এ সময় মহাপরিচালক ওই নারীর জন্য খাবার ও বাড়িতে যাওয়া বাবদ ৫ হাজার টাকা দেন। পরে সুমিত্রাকে ব্র্যাকের সেইফ হোমে রাখা হয়। সেখান থেকে শুক্রবার সকাল ৮টায় তার পরিবারের লোকজন আসলে তাদের হাতে সুমিত্রাকে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
সুমিত্রার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অনেক খুশি। আমার মত গরিব এক মানুষের কথা জানতে পেরে বড় স্যার আমার সাথে দেখা করেছেন। আমার থাকা খাওয়ার ব্যাবস্থা করেছে। আমার বাড়ী যাওয়ার জন্য ৫ হাজার টাকা দিয়েছে। স্যারের মত ভালো মানুষ হয় না।
নিউজবিডি৭১/ এম কে / ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
