ঢাকা : করোনায় ঘটছে চুরি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা। ঢাকার ফাঁকা রাস্তায় চলাচল বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে । জরুরি প্রয়োজনে বেরিয়ে তাদের অনেককেই ছিনতাইকারীদের খপ্পরে পড়তে হয়েছে।
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হন চাকরিজীবী মামুন। জনশূন্য গলিপথে যখন দুই ছিনতাইকারী তাকে ঘিরে ধরে তখন হতভম্ব হয়ে পড়েন তিনি। ছুরি দেখিয়ে তার কাছ থেকে কেড়ে নেয় মোবাইল, নগদ টাকা। প্রাণ ভয়ে সব দিয়েও দেন মামুন। বাসায় ফেরার পর পরিবারের পরামর্শে থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাকে সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
মামুন বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাসায় ফিরছিলাম। মূল সড়ক থেকে গলিতে ঢুকতেই দুজন ছেলে আমাকে ডাক দেয়। তাদের দেখেই আমার সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু মুহূর্তেই তারা আমাকে ঘিরে অন্ধকার জায়গায় নেয়। ছুরি দেখিয়ে আমার কাছে যা আছে দিয়ে দিতে বলে।
এদিকে, গত মঙ্গলবার (৯ জুন) ঢাকার কাফরুল এলাকা থেকে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ পরিবহনের একটি গাড়িও খোয়া যায়। পরে কাফরুল থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হলে নারায়ণগঞ্জ থেকে সেটি উদ্ধার ও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, করোনার কারণে মানুষের চলাফেরা অনেকাংশে কমেছে। একটু রাত হলেই গলির রাস্তাগুলো নিরব হয়ে যায়। এই সুযোগে ওৎ পেতে থাকে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা। একা কাউকে পেলেই সুযোগ বুঝে হাতিয়ে নেয় সঙ্গে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র।
আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী করোনার পর অপরাধ কমেছে দাবি করলেও সূত্র বলছে, রাজধানীতে নিয়মিত চুরি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ হচ্ছে। এসব অপরাধে বেশিরভাগ সময় মাদকাসক্তরা জড়িত। এছাড়া কিশোর বয়সীরাও চুরি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ করছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, আগে যেখানে মানুষজন বেশি থাকত— চোর, ছিনতাইকারী চক্র সেখানে অপরাধ সংঘটিত করতো। তবে করোনার কারণে সেই সুযোগ কমে গেছে। সাধারণ ছুটি শুরুর দিকে বাসা বাড়িতে চুরির করলেও এখন এরা রাস্তায় ছিনতাই করছে। রাজধানীতে এ ধরনের ছোট ছোট অনেকগুলো চক্র রয়েছে।
র্যাব-২ এর স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মহিউদ্দীন ফারুকী বলেন, ডাকাতি, ছিনতাই, সিঁদেল ও ছিচকে চুরির ঘটনা ঘটছে এমন খবরের পর আমাদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার এবং মাদকসেবী। তবে নজরদারি অব্যাহত আছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
নিউজবিডি৭১/এম কে / ১৮ জুন ২০২০