ঢাকা : ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান সুজন বলেছেন, সারাদেশে একরেট বাস্তবায়ন করতে হলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের আরো কম খরচে ব্যান্ডউইথ বহনের সুযোগ দিতে হবে। ঢাকা থেকে তৃণমূল পর্যন্ত উচ্চমূল্যে ব্যান্ডউইথ বহন করে এই সেবা চালু রাখা যাবেনা। রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এক দেশ, এক রেটের’ আওতায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য তিনটি প্যাকেজ থাকবে। প্রথম প্যাকেজের দাম ৫০০ টাকা গতি হবে প্রতি ৫ এমবিপিএস, দ্বিতীয় প্যাকেজের দাম ৮০০ টাকা গতি হবে প্রতি ১০ এমবিপিএস, তৃতীয় ১২০০ টাকা গতি হবে প্রতি ২০ এমবিপিএস। এই দাম কার্যকর হলে ঢাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম প্যাকেজ প্রতি মাসে ১০০ থেকে ২০০ টাকা কমবে। তবে বেশি সুফল পাবেন না ঢাকার বাইরে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা।
তিনি আরো বলেন, করোনাকালে দেশে ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। ছেলেমেয়েরা আউটসোর্সিংয়ের পাশাপাশি পড়াশোনা, ঘরে বসে অফিসের কাজ করাসহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক কাজ করতে পারছে।
তিনি আরো বলেন, ক্যাশ সার্ভার অর্থাৎ গুগল, ফেসবুক ইউটিউব সহ অন্য যেসব তথ্য সেবামাধ্যম অাছে সেগুলো যাতে ইন্টারনেট সেবাদানকারীদের হাতে না থাকে সেজন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিটিঅারসি ও টেলিযোগাযোগ মন্রণালয় কর্তৃপক্ষকে ভুল বোঝানের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তিনি এসব স্বার্থান্বেষী মহলের অপপ্রচারণায় কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানান।
এম কে
