তুরাগ প্রতিনিধি : রাজধানীর তুরাগে নয়ানীচালা এলাকায় এক কিশোরী ধর্ষণের ৪দিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ধর্ষণকারী এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়।
গত শনিবার তুরাগের নয়ানীচালা এলাকায় হাসান মঞ্জিলের ৪র্থ তলায় রান্নাঘরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পরনের কাপড় খুলে ফেলে তাকে ধর্ষন করেন। একপর্যায়ে মেয়েটি ৪ তলা থেকে অশ্লীল অবস্থায় বাঁচাও বাঁচাও বলে নিচে নেমে আসে। তার আত্নচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে, মেয়েটির কাছে ঘটনার বিবরন শুনে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে তুরাগ থানার এস আই ওয়াজিউর তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষিতা মেয়েটিকে উদ্ধার করে। হাসান মঞ্জিলের ৬তলা বাড়ির মালিক মৃত হাজী মনিরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে ধর্ষণকারী তাওহীদুল ইসলাম (২৭)।
স্থানীয় একটি সুত্রে জানা যায়, তাওহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময় এধরণের অভিযোগ এলেও সমাজের কিছু মানুষ বিচারের নামে ধর্ষককে বাচিয়ে দিতেন। এবিষয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, ঘটনা টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য তাওহীদুল ইসলামের (মা) নুর জাহান মেয়েটিকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে মেয়েটিকে বাসা থেকে বের করার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভীকটিম বলেন, আমি আমার আম্মুর সাথে উত্তরার বিভিন্ন জায়গায় সাহায্যের জন্য গেলে তাওহীদুল ইসলাম তাকে ৫০টাকা দিয়ে বলেন, আমার সাথে এসো আমার আম্মু ঈদের খাদ্য সামগ্রী ও ঈদের জামা কাপড় দেয়ার কথা বলে আমাকে নিয়ে আসে। তার ৬তলা বাড়ির ৪ তলায় নিয়ে একটি খালি রুমের মধ্যে ঢুকিয়ে মুখে গামছা বেঁধে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।
এ ব্যাপারে তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল মোত্তাকীন জানান, ধর্ষনের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। ধর্ষণকারী তাওহীদুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নিউজবিডি৭১/এম কে/ ২০ মে ২০২০