আমিনুল ইসলাম : রাজধানীর দক্ষিণখানের ফায়দাবাদে গৃহ বধুকে জোর পূর্বক হাত পা বেধে ধর্ষণের পর ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে।
দক্ষিণখান থানার ফায়দাবাদ চৌরাস্তা ১৮৩ নং বাসায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। স্বামীর অনুপস্থিতিতে জুন মাসের ১৪ তারিখ দুপুর ২টার দিকে বাড়িওয়ালাসহ তার সহযোগী আলমগীর, রানা ও নাজমুল ঘরে ঢুকে গৃহবধুকে জোর পূর্বক হাত পা বেধে ধর্ষন করে এবং ভিডিও চিত্র ধারন করে। পরবর্তিতে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার ভিডিও প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে গনধর্ষন করা হয়েছে এমনটি অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
এবিষয়ে দক্ষিণখান থানায় সেপ্টেম্বর মাসের ৪ তারিখ রবিবার ভুক্তভোগী নিজে বাদি হয়ে একটি মামলা করেছে। মামলা নম্বর ১৪
ভুক্তভোগী অভিযোগ করে জানান,
চুলের কারাখানায় চাকুরীকালীন বাদীনির স্বামীর সাথে বিবাহ হয় এবং বিবাহের পর হতে আলী অহমেদ এর বাসার নিচ তলায় ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করতে থাকেন।
স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়িওয়ালা আলী আহমেদ ও তার সহযোগী আলমগীর, রানা, নাজমুল জোর পুর্বক ঘরে ঢুকে ছদ্দ নাম পলি (২৬) কে হাত পা বেধে আলমগীর নামের এক যুবক ধর্ষন করে এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও চিত্র ধারন করে এবং হুমকি দেয় কাউকে জানালে ভিডিও প্রকাশ করা হবে সেই সাথে তার স্বামীর ক্ষতি হবে। এর পরে বিভিন্ন সময় বাড়িওয়ালা আলী আহমেদ ভিডিও ফাস করে দেয়ার কথা বলে তার কথায় রাজি হতে বাধ্য করতো এমনকি বাড়িওয়ালা আলী আহমেদসহ তার সহযোগীদের মনোরঞ্জন করতে বাধ্য করানো হতো। ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ করে আরো জানায়, বাড়িওয়ালার কথা না শুনতে চাইলে তাকে বিভিন্ন সময় তার বাড়ির নিচ তলার একটি খালি ফ্লাটে নিয়ে মারধর করতো।
লোক লজ্জার ভয়ে ধর্ষিতা মুখ খুলতে না চাইলেও তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে বিষয়টি তার স্বামীকে জানাতে বাধ্য হয়।
পরে স্থানীয় থানায় বিষয়টি অবগত করলে একটি মামলা গৃহীত হয় এবং মামলার এজাহার ভুক্ত দুজন আসামী গ্রেফতার হয়। গ্রেফতার কৃতরা হলেন ১। আলী আহমদ (বাড়িওয়ালা) ২। রানা চুলের কারখানার কর্মচারী।
এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার অফিসার ইনচার্জ শিকদার শামিম হোসেন জানান,মামলার সঠিক তদন্ত করা হবে।দুই জন আসামী কে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
নিউজবিডি৭১/ এম কে / ০৬ অক্টোবর ২০২০
