শরীফ প্রধান, কুমিল্লা উত্তর : দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী গৌরবের সাথে বীর দর্পে পথ চলছে অবিরাম। জনগণের নিরাপত্তা ও কল্যাণে রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব পালনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে পুলিশ বাহিনী। রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণ আর নিরাপত্তায় পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসার থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের অফিসাররাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতি মুহুর্তে রাত-বিরাতে কাজ করে চলছেন।
কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার ফারুক আহম্মেদ (পিপিএম) বার জেলায় যোগদানের পর থেকে জেলা থেকে মাদক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাজ দমনে জিরোটলারেন্স নীতিতে কাজ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানী ঢাকা-বন্দরনগরী চট্রগ্রাম এর প্রবেশদ্বার দাউদকান্দি থানা এলাকার প্রতি তিনি গুরুত্বারোপ করেছেন বেশি।তাঁর সাফ কথা দাউদকান্দি ভালো থাকলে সমগ্র কুমিল্লা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে।
সম্প্রতি দাউদকান্দি-চান্দিনা সার্কেল এর জৈষ্ঠ্য সহকারি পুলিশ সুপার মো. জুয়েল রানা দাউদকান্দির গোমতী নদী থেকে কিংবা আশপাশের এলাকাসহ পুরো দাউদকান্দিকে চাঁদাবাজ মুক্ত রাখার যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে গোমতী নদীকে চাঁদাবাজমুক্ত করার অঙ্গীকার করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় জেলার দাউদকান্দি মডেল থানার চৌকশ, মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হোসেন। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। মাস তিনেক আগে যোগ দিয়েছেন দাউদকান্দি মডেল থানায়। যোগদানের পর থেকে দাউদকান্দির বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস, মাদক, চাঁদাবাজ, ডাকাতি ও ছিনতাইরোধে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলছেন। সাধারণ সেবা প্রত্যাশীদের মুখেও এখন এই উপ-পরিদর্শকের প্রশংসা শোনা যাচ্ছে।
গেলো কিছু দিন আগে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছিলো এক মোটরসাইকেল আরোহী। কোনো ক্লু ছিলো না। মন ক্লুলেস হত্যাকান্ডের ঘটনায় অবশেষে দাউদকান্দি -চান্দিনা সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মো. জুয়েল রানা’র নির্দেশে মডেল থানার অফিসার-ইন-চার্জ মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে ২৪ ঘন্টায় তিন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হোন পুলিশের এই উপ-পরিদর্শক নাজমুল। বিচক্ষণতার সহিত দায়িত্ব পালন করে চলছেন তিনি। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সদের নিয়ে শীর্ষ ডাকাত সর্দারসহ কয়েকজন ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন।
মো. নাজমুল হোসেনের সাথে কথা হলে নিউজবিডি৭১ এর প্রতিবাদেক শরিফ প্রধান কে জানান , যে দীপ্ত দেশ প্রেম বুকে নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেছি, আমি চেষ্টা করি পুলিশের সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখে কাজ করতে।
সরকার আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করি দায়িত্ব্যের সবটুকু পালন করতে। আমার দ্বারা যেনো কোনো নিরীহ মানুষ হয়রানি না হয় সে বিষয়টি আমি গুরুত্ব দেই সর্বদা। আমি চেষ্টা করি আমার কাছে যারা সেবা প্রত্যাশী হিসেবে আসে তাদেরকে আইন মোতাবেক ন্যায়ের পথে সেবা প্রদান করতে।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু শত্রু নয়। পুলিশ-জনতা একসাথে কাজ করলে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং,জঙ্গিবাদ সকল কিছু নির্মূল করা সম্ভব।
এম কে
