কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার খামারিরা করোনা পরিস্থিতির কারণে কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন । প্রতিবছর এই ঈদকে সামনে রেখে ঢাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হাট থাকে তাদের টার্গেটে।এবার সে অবস্থাটি নেই।
কুষ্টিয়ার খামারিদের সারা বছরের আশা-ভরসা ম্লান করে দিয়েছে মহামারি করোনা। ঈদ এসে গেছে প্রায়। যে সময়টিতে বেচাকেনা জমজমাট থাকার কথা, সে সময়টিতেও ভাবছেন তারা কোরবানির পশু বাজারে নিতে পারবেন কিনা। বাজারে নিলেও ক্রেতা মিলবে কিনা। ক্রেতা মিললেও দাম পাওয়া যাবে কিনা। এসব নানাবিধ ভাবনায় শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা।
জানা যায়, কোরবানির পশু বাজারে তোলার সময় ঘনিয়ে আসলেও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এখনো দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তারা।
জেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, কুষ্টিয়ার ৬টি উপজেলায় ৩৮ হাজার গরু-ছাগলের খামার রয়েছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে এবছর এসব খামারে ১ লাখ ৫ হাজার গরু, ৭০ হাজার ছাগল এবং ২ হাজার ভেড়াসহ অন্যান্য পশু
কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার আইলচারা গ্রামের দবির আলীর খামারে এবার ৪০টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এই খামারি বলেন, ‘গত বছর শতাধিক গরু ঢাকায় বিক্রি করে আমাদের বেশ ভালো লাভ হয়েছিল। তবে এবার করোনার কারণে গরু বিক্রি করতে পারবে কিনা তা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।’
খামারি সেলিম হোসেন বলেন, ‘করোনার কারণে গরুর দাম অর্ধেকও বলছে না। যে গরু ৭ মাস আগেই ৬০ হাজার টাকায় কিনেছি, সেটা এখনো ৬০-৬৫ হাজার টাকা দাম বলছে ব্যপারীরা।’
কুষ্টিয়া জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, এ জেলায় মোট ১৫টি পশুর হাট রয়েছে। এসব হাট ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্নস্থানে এই পশু বিক্রি করা হবে। অনলাইনেও চলবে এই পশু বিক্রির কার্যক্রম। গেল বছরে জেলার খামারিরা কোরবানির পশু বিক্রি করে বেশি লাভ করেছিল। তাই এবার আরও বেশি পরিমাণ গরু পালন করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন জানান, কোরবানিকে টার্গেট করে কুষ্টিয়াতে ব্যাপক গবাদিপশু লালনপালন করা হয়ে থাকে। এই করোনার সময়ে হাটে না গিয়ে ঘরে বসে গরু কিনতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনলাইনে।
নিউজবিডি৭১/এম কে / ০৭ জুলাই ২০২০