‘আমরা বি নেগেটিভ রক্তবন্ধু’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ৩য় বারের মতো বি নেগেটিভ রক্তবহনকারীরা একত্রিত হয়ে উদযাপন করেছে ‘বি নেগেটিভ দিবস’।
সম্প্রতি (২২ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরখানের একটি রিসোর্টে আনন্দঘন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করেছে বি নেগেটিভ রক্তযোদ্ধাদের প্ল্যাটফর্ম ‘বি নেগেটিভ ব্লাড ডোনার বাংলাদেশ’।
দিবসকে ঘিরে সারাদেশের ৬৪ জেলা থেকে ছুটে আসেন প্রায় দুই শতাধিক বি নেগেটিভ রক্তবহনকারী ব্যক্তি।

আয়োজকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দেশের সব জায়গায় কমবেশি ব্লাড ডোনার সংগঠন গড়ে উঠলেও সেসব সংগঠনে বি নেগেটিভ রক্তের মানুষের সংখ্যা খুবই কম থাকায় এই রক্তের প্রয়োজনে রক্তদাতা খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টকর হয়ে ওঠে। এতে করে অনেক সময় কেবলমাত্র রক্তের অভাবে জীবন হারাতে হয় বি নেগেটিভ রক্তবহনকারী ব্যক্তিকে।
আর তাই বি নেগেটিভ রক্তের অভাবে যাতে করে কাউকে প্রাণ হারাতে না হয় সেজন্য নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি করার মধ্য দিয়ে নিজেদের মধ্যে একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছে তারা। যারা রক্তদানের মধ্য দিয়ে জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসছে একে-অপরের পাশে।

আয়োজনটিতে লক্ষীপুর থেকে ছুটে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, অপারেশন কিংবা দূর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির বি নেগেটিভ রক্তের প্রয়োজনের কথা শুনলেই আমি রক্তদানের চেষ্টা করি। এ পর্যন্ত পাঁচবার রক্ত দিয়েছি। আসলে মানব সেবার কল্যাণে কিছু করতে পারলে আমার কাছে ভালো লাগে।
বি নেগেটিভ রক্ত প্রসূতি মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে আয়োজনটিতে উপস্থিত থাকা নরসিংদীর মিতু বলেন, বি নেগেটিভ রক্তবহনকারী প্রসুতি মায়ের জন্য এই রক্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমাদের কাছে কোন সিজারিয়ান বোনের এই রক্তের প্রয়োজন বলে খবর আসলে আমরা কেউ না কেউ রক্ত দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকি। এভাবেই একে-অপরের পাশে এগিয়ে আসার চেষ্টা করছি।
আয়োজকরা জানায়, ২০১৮ সাল থেকে তারা বি নেগেটিভ রক্তবহনকারীদের একটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের ৬৪ জেলাতেই তাদের সদস্য রয়েছে। যে কোন বি নেগেটিভ ব্যক্তির রক্তের প্রয়োজনে তারা কাজ করছে।
৩য় বারের মতো বাংলাদেশে বি নেগেটিভ দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন প্ল্যাটফর্মটির অন্যতম সদস্য সুমিত বড়ুয়া, আক্তার হোসেন, মো. সদরুল আমীন, মাহিল আলম, শাহাদাত ইমতিয়াজ প্রমুখ।