ঢাকা : স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতির সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত।
বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে মাস্ক-পিপিই ক্রয় দুর্নীতির অভিযোগে বুধবার সকাল থেকে জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক এবং তমা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কোং লিমিটেডের সমন্বয়কারী (মেডিকেল টিম) মো. মতিউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
সংস্থাটি একই অভিযোগে বুধবার তলব করে এলান করপোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিনকে। তবে করোনায় আক্রান্তের কারণ দেখিয়ে হাজির না হয়ে সময় চান তিনি।
সাংবাদিকদের দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পিপিই-মাস্ক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অনুসন্ধানে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে যাদেরই নাম আসবে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ দুর্নীতির সঙ্গে কোন সরকার কর্মকর্তা জড়িত আছেন কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।
দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর স্বাক্ষরিত অতীব জরুরি তলবি নোটিশে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার নিমিত্ত নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে অন্যান্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বর্ণিত অভিযোগ বিষয়ে তাদের বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।
নিউজবিডি৭১/এম কে / ০৮ জুলাই ২০২০