নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানী উত্তরায় থেমে নেই ফুটপাত চাঁদাবাজি! উত্তরা ও তুরাগের মাঝামাঝি ব্যস্ততম খালপাড় এলাকা জুড়ে বসানো হয়েছে শতাধিক ভাসমান দোকানপাট। প্রসস্থ রাস্তা সরু হয়ে যানজট লেগে থাকলেও এগুলো দখলমুক্তের নেই কোনো উদ্যোগ। রাস্তা, ফুটপাত, সরকারি জায়গা, খালপাড় বড় মসজিদের সামনের অংশ সবই একে একে দখল হয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। অভিযোগ উঠেছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এগুলো দখল করে হকারদের ব্যবসা করার সুযোগ করে দিচ্ছে মিরাজ নামের এক ব্যাক্তি। আর তার এমন কাজে পরোক্ষ ভাবে সহযোগীতা করে চলেছে স্থানিয় থানা পুলিশ, স্থানীয় কাউন্সিলরসহ উত্তরা ১২ নং সেক্টর কল্যাণ সমিতির বেশ কয়েকজন নেতা।
বিনিময়ে চিহ্নিত এই সিন্ডিকেটকে প্রতিদিন মোটা অঙ্কের চাঁদা তুলে দিচ্ছে মিরাজ সিন্ডিকেটের নিয়োজিত লাইনম্যানরা। এ চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে সংঘর্ষের ঘটনাও। অথচ প্রশাসন নির্বিকার। এদিকে, রাস্তা দখলের কারণে তুরাগের খালপাড়ে রাতদিন যানজট লেগেই আছে। তাছাড়া অবৈধ অটোরিকশা স্ট্যান্ড তৈরি করায় বিশৃঙ্খলা লেগে প্রতিনিয়ত ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি করছে। যার প্রভাব গিয়ে পড়ছে পুরো আশপাশের এলাকায়। এতে করে এলাকাবাসিকে প্রতিনিয়ত সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সরেজমিনে এলাকাটি ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিনই নতুন নতুন ফুটপাত ও রাস্তা দখল হয়ে যাচ্ছে। পাশেই দেখা গেলো উত্তরা পশ্চিম ও তুরাগ থানার দুটি পুলিশ বক্স। কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে যানজট নিরসনে মাঝে মধ্যে তৎপর দেখালেও রাস্তা বা ফুটপাত দখলমুক্ত করতে কোনো উদ্যেগ নিতে দেখা যায়নি। হকাররা জানান, পুলিশকে ম্যানেজ করে লাইনম্যান নামধারী চাঁদাবাজরা তাদেরকে ফুটপাত ও রাস্তা দখলের সুযোগ করে দিয়েছে। যার কথোপোকথনের একটি ভিডিও প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে। সেই ভিডিওতে অকপটে বলতে শোনা গেছে কিভাবে এই চাদাঁর টাকা ভাগ বাটোয়ারা করা হয়। চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট একাধিক গ্রুপও রয়েছে। এই গ্রুপের মধ্যে যাদের নাম অনুসন্ধানে উঠে এসেছে তারা হলেন খালপাড়ের মিরাজ,মোস্তাফিজ,কবির,হযরত,বিল্লাল। আজমপুরের নবী,আমিন, আতিক,সান,সানু, রাসেল। জসিমউদ্দিন টু পাকারমাথা, আজমপুর টু রবীন্দ্র স্বরনীর আনোয়ার, মেহেদী,মানিক,ফরহাদ,প্রিন্স মামুন, চায়না মার্কেটের সামনে মাসুদ, রাজলক্ষ্মী ফারুক, সায়মনসহ অন্যান্যরা।
এ বিষয়ে অভিযোগ উঠা মিরাজ নামের ওই ব্যাক্তি জানান,তিনি ফুটপাত থেকে চাদাঁ উঠান না। তার নিজের ডিয়াবাড়িতে গাড়ীর ব্যবসা রয়েছে।
এ বিষয়ে উত্তরা ১২ নং সেক্টর কল্যাণ সমিতির সভাপতি নাসিরের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি। তবে উত্তরা ১২ নং সেক্টর কল্যাণ সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট রাকিবুল ইসলাম জানান,বেশ কয়েকবার এই ফুটপাতের বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগীতা চাওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় নি। তারা আমাদের সহযোগীতা করে নি। তিনি বলেন, কল্যাণ সমিতি চাদাঁর ভাগ পায় বিষয়টি পুরোটাই মিথ্যা।
৫৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন বলেন,আমার এই বিষয়ে জানা নাই।
তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
অন্যদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জড়িতরা বলছেন, এসব অভিযোগ আদৌ সত্য নয়।
এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত থাকছে অনুসন্ধানের দ্বিতীয় পর্বে।
