আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা : খুব সহজেই এ ভাইরাস ছড়ায় মোবাইল ফোন তার অন্যতম প্রধান বলে এক গবেষণায় জানিয়েছেন দুবাই পুলিশের বিজ্ঞানী মেজর ড. রশিদ আল গাফরি।
সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জীবাণু সংক্রমণের ওপর গবেষণা চালান দুবাই পুলিশের ফরেনসিক ও অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন বিষয়ক পরিচালক রশিদ আল গাফরি। এতে দেখা যায়, ব্যবহারকারীর অজান্তে খুব সহজেই করোনা ভাইরাসসহ অনেক জীবাণুই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। জীবাণু সংক্রমণের অন্যতম প্রধান এক মাধ্যম মোবাইল ফোন।
ট্রাভেল মেডিসিন অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিস জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এ তথ্য জানায়।
গাফরি বলেন, আমরা বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ফোন নিয়ে কাজ করে দেখতে পাই, এগুলোর গায়ে শত শত জীবাণু। ফোন হলো ঘরের শত্রু বিভীষণের মতো। ব্যবহারকারী নিজের অজান্তেই ফোনের মাধ্যমে নিজের ঘরে জীবাণু বহন করে নিয়ে যায়। ফোনে থাকা জীবাণুর মধ্য দিয়ে সামাজিক সংক্রমণও ঘটে। কর্মক্ষেত্র, অফিস, আদালত, গণপরিবহনেও ফোনের মাধ্যমে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি।
‘মোবাইল ফোন তাপ উৎপাদন করে এবং জীবাণুগুলোকে বেঁচে থাকতে ও প্রজননে সাহায্য করে। করোনাসহ অন্যান্য জীবাণু ছড়াতে এটি সাহায্য করে। মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই জীবাণু এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়, দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে।’
গাফরি ফোনের মাধ্যমে জীবাণু ছড়ানো ঠেকানো রোধ করার বিষয়ে বলেন, মানুষকে নিজের ফোনটিকে নিজের হাতেরই অংশ মনে করতে হবে। কেননা ফোনে যা থাকে, ধরে নেওয়া যায়, তা হাতেও থাকে। ফলে হাতের মতোই নিয়মিত ফোনও স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। প্রতিদিনই সেটা করা উচিত। ফোনকে সবসময় রোগজীবাণুর বাহক হিসেবে দেখতে হবে।
নিউজবিডি৭১/এম কে/১৯ মে ২০২০