ঢাকা : রাজধানীর ওয়ারী এলাকাকে লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে ম্যাপিং করে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে আগামীকাল সকালে বৈঠক ডেকেছেন দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ওয়ারী এলাকার ম্যাপিং পেয়েছি। এটি আমাদের দুটি ওয়ার্ডের মধ্যে পড়েছে। এ নিয়ে আজ সকাল থেকে আমরা কাজ করছি। আগামীকাল মেয়রের সভাপতিত্বে লকডাউন কমিটির বৈঠক হবে। সেখানে পুলিশ, কাউন্সিলর, স্বাস্থ্য অধিদফতর, এটুআই প্রকল্পসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডাকা হয়েছে। আমরা এখন কীভাবে লকডাউন কার্যকর করবো সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামীকালকের বৈঠকে কবে থেকে লকডাউন শুরু হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এমদাদুল হক আরও বলেন, লকডাউন এলাকায় মানুষের খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ, নমুনা সংগ্রহ, হোক কোয়ারেন্টিন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, টেলিমেডিসিন সার্ভিস, মৃতদেহ সৎকার, রোগী পরিবহন, হোম ডেলিভারি, লকডাউনের কারণে কর্মহীনদের খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং কমিটিসহ অন্যন্য ব্যবস্থাপনা কীভাবে করা হবে সে বিষয়ে কাজ করছি।
চলমান করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার বিবেচনায় রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোন সাম্প্রতি চিহ্নিত করে করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি ঢাকার ৪৫টি এলাকাকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে তা লকডাউনের সুপারিশ করেছিল। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৮টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৭টি এলাকা রয়েছে।
উল্লেখ্য, লকডাউনের জন্য রেড জোন হিসেবে তালিকায় থাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে রেড জোনের সুপারিশকৃত এলাকার মধ্যে আছে- যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, জিগাতলা, লালবাগ, আজিমপুর, বাসাবো, শান্তিনগর, পল্টন, কলাবাগান, রমনা, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলি, মিটফোর্ড, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, ওয়ারী, খিলগাঁও, পরীবাগ, কদমতলী, সিদ্ধেশ্বরী, লক্ষ্মীবাজার, এলিফ্যান্ট রোড ও সেগুনবাগিচা।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটির এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে- গুলশান, বাড্ডা, ক্যান্টনমেন্ট, মহাখালী, তেজগাঁও, রামপুরা, আফতাবনগর, মগবাজার, এয়ারপোর্ট, বনশ্রী, রাজাবাজার, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, গুলশান, উত্তরা, মিরপুর। এগুলোকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণার সুপারিশ করেছে টেকনিক্যাল কমিটি।
নিউজবিডি৭১/এম কে / ২৪ জুন ২০২০