ঢাকা : রাজধানীর উত্তরায় ব্যপক ভাবে গজিয়ে উঠেছে ক্লিনিক ব্যবসা। যার বেশীর ভাগেই নেই কোন বৈধ কাগজপত্র। সরেজমিন তথ্য সংগ্রহে প্রথম দিনে গিয়েই গিয়ে দেখা গেছে, গত ২৩ ডিসেম্বরে একজন গর্ভবতী মহিলা চাদের হাসি নামের দক্ষিণখান থানায় অবস্থিত ক্লিনিকে গেলে, সেখানকার কর্তব্যরত কানিজ ফাতেমা নামের একজন চিকিৎসক যার নামের পাশে উল্লেখ আছে এমবিবিএস, ডিএমইউ,সনোলজিষ্ট। তার দেওয়া সেই চেকাপ রিপোর্টে উল্লেখ করেন গর্ভবতী মহিলার বাচ্চা স্বাভাবিক আছে। পরবর্তীতে ১১/৫/২০২০ তারিখে আরেকবার চেকাপ করালে গর্ভবতী মহিলাকে একটি হাতের লিখা কৌশলগত রেজিস্ট্রারে উল্লেখ ছাড়া একটি ফর্মে রিপোর্ট দেওয়া হয়। যা ছিল তাদের স্বাভাবিক নিয়মের বায়রে।
গর্ভবতী মহিলাকে দ্রুত উক্ত হাসপাতালে ভর্তি করে সিজার করতে বলা হয়। নইলে বাচ্চা বা মায়ের ক্ষতি হবে বলে সতর্ক করেন চাদের হাসি নামের ক্লিনিকটি। ফলে হঠাৎ নিম্ন আয়ের মানুষ হওয়ায় এবং নির্ধারিত সময়ের প্রায় আগেই বাচ্চা হওয়ার প্রস্তুতি না থাকা ভেংগে পরেন প্রসূতি। তিনি দ্রুত অর্থের জন্য নিজের স্বর্ণালংকার বিক্রি করে টাকা জোগার করেন।
প্রথম রিপোর্টের প্যাডের নমূনার সাথে পরের প্যাডটির হাতে লিখার কারনে, কম্পোজ এর ধরণ না মিলায় কয়েকজন প্রতিবেশীর বুদ্ধিতে গর্ভবতী উক্ত মহিলা অন্য একটি ডায়োগনষ্টিক সেন্টারে গিয়ে পুনরায় চেকাপ করালে গর্ভের বাচ্চার অবস্থান ঠিক বলে জানান সেখাকার চিকিৎসাকরা। সাথে এও জানানো হয় যে, নির্ধারিত সময়ের আগে বাচ্চা ভূমিষ্ট হবে না। এমন দুই ধরণের রিপোর্টে বিভ্রান্ত গর্ভবতী সেই নারী বাচ্চা প্রসব করার পর গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন বাচ্চা গর্ভে নিয়ে তিনি হয়রানির শিকার হয়েছেন । চাদের হাসি চিহ্নীত ক্লিনিক, বাংলাদেশ এর ইচ্ছাকৃত ভুল ডায়োগনোসিসের উদ্দেশ্য ছিল মূলত দ্রুত সিজার করিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া বলে জানা মহিলাটি।
ধারাবাহিক প্রতিবেদন পর্ব -১
নিউজবিডি৭১/ এম কে / ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
