ঢাকা : রাজধানী উত্তরার ৬নং সেক্টরের ১০নং রোডের ৪৬ নং বাড়িটি মূলত হোটেল ইম্পিয়ানার অবস্থান।সেই হোটেলের ভেতরের কার্যক্রম সাধারনের কাছে প্রায় অজানা। আর সেই রহস্য ঘেরা আবাসিক হটেলে রাতে চলে নাইট পার্টি,রুমে চলে ক্যাপেলদের রগরগে যৈন অবস্থান বলে জানান পাশের বসবাসকারিরা।যদিও হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে তাদের ব্যবসা চলে নিয়ম মেনে।
গত ৯ তারিখে যুবায়ের নামের এক তরুন একটি রুম ভাড়া নেয় হোটেল ইম্পিয়ানায় আবাস যাপনের জন্য। দিনে হোটেলে উপস্থিত হয়নি সে, উপস্থিত হয়েছে রাতে প্রায় ২ টায় কথিত তার স্ত্রীকে নিয়ে।স্ত্রীর নাাম দিতি।একই বায়িং অফিসের কলিগ সে । একই অফিসে চাকরির সুবাদে নাকি তাদের পরিচয়। যদিও হোটেল কতৃপক্ষ এই দম্পতির বিয়ে থা সম্পর্কে গনমাধ্যমে কোন কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।
আর এমন বিবাহের আইনগত বৈধতা নিশ্চিতের বিষয়ে অতটা তদারকি তারা করে না এমনটা বুঝা গেল,গনমাধ্যম কর্মীদের সামনে উপস্থাপিত কাগজ পত্রের প্রমান উপস্থাপনের দশা দেখে। যেখানে ছেলেটার একটি ভোটার আইডি কার্ডের অস্বচ্ছ ফটোকপি থাকলেও, প্রায় ৫ ঘন্টা সময় নিয়েও মেয়েটির কোন আইডি কার্ড হোটেল ইম্পিয়ানার কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেনি।যুবায়ের নামের যুবক এবং দিতি নামের যুবতির মধ্যে স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক এমন প্রমাণ সেখানে অনুলেখ্য।
এবার আসি ঘটনার বিবরণে।রাজধানীর উত্তরায় পূর্ব থানায় গত ১০ তারিখে সকালে একটি মামলা হয়।৯/২০ তারিখে দিতি নামের একজন বাইং হাউস কর্মী মামলা করেছেন এইমর্মে যে, এই ইম্পিয়ানা হোটেলে তার উর্দ্বতন কর্মকর্তা যুবায়ের জোড় করে তাকে ধর্ষণ করেছে বলে মামলায় বাদীনি দিতি উল্লেখ করেন।যদিও বাদীর ভাই অপু জানান তার বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অপ্রকৃতিস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলে তারা তাকে থানায় নিয়ে আসেন।আর সেই মামলায় সূত্রেই আমাদের প্রতিনিধির সেই হোটেলে গমন। হোটেলের আশেপাশের বাসিন্দারা জানান এই হোটেলে এমন অনেক যুবক যুবতিদের আসা যাওয়া নিয়মিত।গভীর রাতে পার্টি নামে হৈহুল্লো চলে ছাদে।হৈহুল্লো সেড়ে যারা বেড়িয়ে যায় তাদের গতি স্বাভাবিক থাকে না বলে আশপাশের কয়েকজন জানায়। বাসিন্দাদের অনেকেই প্রশ্ন করেন আবাসিক এলাকায় এমন ধরনের অবৈধ কর্মের হোটেল গড়ে তুলেছে কারা।জানা যায় এক শ্রেণির ব্যবসায়ী নিয়মের তোয়াক্কা না করে এই ধরনের রগরগে হোটেল গড়ে তুলেছে। পাশেই রয়েছে দেশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । যেখানে সবসময় বিচরন করে কমলমতি ছাত্র ছাত্রীরা। পরিবেশ নোংরা হয়ে এই ছাত্র ছাত্রীরা যে বিপথগামী হবে না সে দায় কার উপর বর্তাবে। এমন অনেক যুবক যুবতির বেগানা আসা যাওয়ায় আশপাশের পরিবেশ কি সুথ্য থাকবে। এমন প্রশ্ন সকলের। আর এই উন্মুক্ত মেলামেশার কারণে এই হোটেলে ধর্ষণ হয়েছে দিতি নামের তরুণী।যার মামলা নম্বর ৯/২০ উত্তরা পূর্ব থানা। বিষয় জ্র করে ধর্ষণ। যার মামলার বাদীনী ঢাকা মেডিকেলের ইন্সেন্টিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি। অপর দিকে সেই কথিত ধর্ষক যুবায়ের রয়েছে জেল হাজতে। এমনটা জানিয়েছেন মামলার আইও এসআই সাদেক। কিন্তু হোটেল ইম্পিয়ানা কর্তৃপক্ষ রয়েছে বহাল তবিয়াতে ধরা ছোয়ার বায়রে।
যাদের ব্যবসার লালসায় এই যুবক যুবতিরা বিপথে তারাই রয়ে যাচ্ছে আইনের দৃষ্টির বায়রে ।আমাদের প্রতিনিধি প্রশ্ন ছিল কেন যথাযথ স্বামী স্ত্রী পরিচয়ের বাইরে হোটেলে যুবক যুবতি দের রাখা হলো।যার সদুত্তর নেই হোটেল কর্তৃপক্ষ এর।আসলে নানান স্তরকে ম্যানেজ করেই নাকি চলে তাদের এই ধরনের অনৈতিক ব্যবসা। আশেপাশের বাসিন্দাদের দাবি দ্রুত এই আবাসিক হোটেলের নামে রগরগে যৌন ব্যবসা বন্ধ করা হোক।নইলে স্থানীয় ভাবে বসবাস করা যুবক যুবতিরা যাবে উচ্ছনে । সুস্থ্য পরিবেশ হবে বাধাগ্রস্থ।
নিউজবিডি৭১/ এম কে / ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
