মোঃ সাজেদুর রহমান, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানার আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। শুক্রবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রনে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ডেমরা, কাঞ্চন, আড়াইহাজার ও নারায়ণগঞ্জ জেলার মোট ১৮ টি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট।
অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত স্বপ্না আক্তার (৪৫), মীনা আক্তার (৪১) ও মোরসালিন (২৮)সহ তিনজন নিহত হয়েছে। তবে ৭০-৮০ জন শ্রমিক এখনো শ্রমিক এখনো ওই ভবনের ভেতরে রয়েছে বলে জানান শ্রমিক ও নিখোঁজের স্বজনরা।
নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজন ও প্রত্যক্ষদশর্ীরা বলেন, ৬ তলা ভবনটির মধ্যে চতুর্থ তলার শ্রমিকরা কেউ বের হতে পারেনি। সিকিউরিটি ইনচার্জ ৪ তলার কেচি গেটটি বন্ধ করে রাখায় কোন শ্রমিকই বের হতে পারেনি। চারতলায় ৭০-৮০ জন শ্রমিক কাজ করতো। চতুর্থ তলার শ্রমিকদের ইনচার্জ মাহবুব, সুফিয়া, তাকিয়া, আমেনা, রাহিমা, রিপন, চম্পা রানী, নাজমুল, মাহমুদ, ওমরিতা, মহিউদ্দিন, তাছলিমাসহ প্রায় ৭০-৮০ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনরা ফ্যাক্টরীর সামনে এসে ভীড় জমায় স্বজনের খোজে। নিখোঁজ স্বজনদের আহাজারীতে কারখানার চারপাশ ভারী হয়ে উঠে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কারখানার চারতলার ভবনের আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে।
কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ শাহ-আলম বলেন, মধ্যরাতে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও সকাল ৬ টার দিকে আবার কারখানার চারতলায় আবারো আগুন বাড়তে থাকে। আগুন নিয়ন্ত্রণের আগ পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৮ টি ইউনিট।
স্বজনরা অভিযোগ করে জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। কারখানায় আগুন লাগার পরও কারখানা কর্তৃপক্ষ কেচি গেটের তালা না খোলায় শ্রমিকরা বের হতে পারেনি।
ঢাকা ফায়ার সার্ভির সহকারী পরিচালক দিনোমনি শর্মাকে এ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজী হয়নি।
এম কে
