আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জনপ্রিয় বরমী ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হক বাদল সরকারকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল।
চেয়ারম্যানের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের আগ মুহুর্তে এমন অপপ্রচারে নেমেছে ওই মহলটি।
জানা যায়, গত কোরবানি ঈদের আগে বরমী বাজার দিয়ে দিনের বেলায় জনস্বার্থে ড্রাম ট্রাক না চালানোর জন্য সকল ড্রাম ট্রাক, মালিক ও সমিতির সাথে পরামর্শ করে চালানোর জন্য নিষেধ করা হয়। কিন্ত সবাই এই নির্দেশ মানলেও হারুন অর রশিদ বাদল এই নির্দেশ অমান্য করে দিনের বেলা বালু ভর্তি ট্রাক বাজার দিয়ে চলাচল করিলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় বরমী বাজারে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
একপর্যায়ে সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে বাধ্য হয়েই কয়েকটি ড্রাম ট্রাক তৎকালীন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে আটক করেন চেয়ারম্যান। পরে শ্রমিকদের অনুরোধে ওই ট্রাকগুলোর ড্রাইভার দিনের বেলায় বরমী সড়ক দিয়ে ট্রাক চালাবে না বলে মুচলেকা দিয়ে ট্রাকগুলো নিয়ে যায়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হারুন অর রশীদ বাদল ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে কাল্পনিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে একের পর এক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে থাকেন। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় ডিজিটাল আইনে হারুন রশিদ বাদলের বিরুদ্ধে মামলা করিলে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর জামিনে এসে এলাকায় তার সন্ত্রাস বাহিনীর একজন কথিত সাংবাদিক লিটনকে দিয়েও আমার বিরুদ্ধে ভিক্তিহীন সংবাদ ছাপিয়ে আমার মানসম্মানহানী করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।
চেয়ারম্যান শামছুল হক বাদল সরকার বলেন, বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর থেকে বিরামহীন মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। তা বরমীবাসি ভালো করেই জানেন। ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা কালীন অর্থের বিনিময়ে মানুষের কাজ করে দিয়েছি এমন প্রমাণ আদৌ কেউ দিবে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, আমি যখন এইচএসসিতে অধ্যায়নরত তখন লালে বাপের হোটেলের অর্ধেক জমি মরহুম বোরহানের নিকট থেকে সাফ কবলা জমি কিনে বাসা করেছি। সেই জমি কীনা খাসের জায়গা! আর বরমী বাজার তালকাঠ মহলে দেশ স্বাধীন হবার আগে জামালপুরের ইদ্দির মা বাসা করে থাকত তার পর ইদ্দির মার কাছ থেকে হানিফ ফকির ক্রয় করে হোটেল সাহেব আলীর নিকট বিক্রি করে সাহেব আলী তার নামে লিজ নিয়ে প্রায় ২০বৎসর বাসায় থাকেন তার পর সাহেব আলী আব্বাস আলী ফকিরের কাছে বিক্রি করে দেন আবাছ আলী ৪/৫ বৎসর ভোগ করার পর আমার নিকট বিক্রি করিলে আমি আমার নামে ও ছোট ভাইয়ের নামে আরো দুটি লিজ করিয়া দীর্ঘদিন বসবাস করিয়া আমি আমার নির্মাণাধীন বসত ঘরের দখল বিক্রি করিয়া দেই। এটাও নাকী সরকারি জমি বিক্রি করিয়াছি! সোহাদিয়া কৃষ্ট বাবু মনা বাবু ও পিলু বাবু তিন ভাইয়ের ২৯৭ শতাংশ জমি ছিল সেখান হইতে জয়দেবপুরের পাঠানটেকের ছিদ্দিক মেম্বারে সুমুন্দি পিলু বাবু আর মনা বাবুর অংশ ১৯৯৮ সালে খরিদ করে নিয়ে যায় বাকি কৃষ্টবাবুর অংশের ৯৯ শতাংশের ৬৮ আমি খরিদ করেছি বাকী অংশ ছিদ্দিক মেম্বারের সুমুন্দির সাথে মিস কেস করে আমরা রায় পেয়েছি। এখন রেজিঃ হবে। জমি খরিদ করার পর থেকে নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছি।
আমার বৈধ জমি নিয়ে কুচক্রী মহলটি একের পর এক মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য সরবরাহ করে আমার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
