সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় শনিবার সকাল ৬টা থেকে সপ্তাহব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার (৫ জুন) সকালে শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে আগামী ১১ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত।
গত বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুরে জেলা করেনা প্রতিরোধ কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার (৫ জুন) সকালে শুরু হওয়া এ লকডাউন বহাল থাকবে আগামী ১২ জুন পর্যন্ত।
লকডাউনের শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়েছে প্রশাসন। জরুরি সেবা ছাড়া সব দোকানপাট, মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ রয়েছে। সাতক্ষীরার সঙ্গে যশোর ও খুলনাসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগের পয়েন্টগুলিতে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে। শহরে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাধা নিষেধ অমান্যকারীদের জরিমানা করা হচ্ছে। তবে, শহরের বাইরে ভ্যান,রিকশা চলাচল করছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, লকডাউন চলাকালে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কাঁচাবাজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলা থাকবে। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আম পরিবহন চালু অব্যহত থাকবে। তবে দূরপাল্লার সকল যাত্রীবাহী বাস এবং মোটরসাইকেল, ভ্যান-রিকশা, নছিমন, করিমনসহ জেলার অভ্যন্তরীণ সব যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
এদিকে, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চালু থাকবে। এসময় বন্দরে সবধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। বন্দর এলাকায় ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার, হেলপারসহ সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। না মানলে জরিমানা করা হবে। ব্যাংক বিমা খোলা থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কিছু চলবে। মাস্ক না পরলে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। সীমান্তবর্তী এলাকায় কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে যাতে ভারতে অবৈধভাবে কেউ যাতায়াত করতে না পারে।
এছাড়া, হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো পার্সেল অথবা প্যাকেটজাত খাবার সরবরাহ করতে পারবে। সন্ধ্যার পর কোনো রাস্তার মোড়ে বা স্থানে একের অধিক ব্যক্তি অবস্থান করা বা একসঙ্গে চলাফেরা করতে পারবে না।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত জানান, বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৫৩ শতাংশ। দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী সাতক্ষীরা সদর, কালিগঞ্জ ও কলারোয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। ঘরে ঘরে মানুষের জ্বর, সর্দি, কাশিসহ করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তাই সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিধিনিষেধ অবশ্যই মানতে হবে। আর নিম্মআয়ের মানুষ যাতে কষ্টে না থাকে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে। কোনো মানুষ না খেয়ে থাকেব না।
এ বি/এসএইচআই / নিউজবিডি৭১
