ঢাকা : সারাদেশে সীমিতভাবে গণপরিবহন চলছে। তবে এর মাঝেও থেমে নেই সড়ক দুর্ঘটনা। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে জুন মাসে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৯৭টি। এতে নিহত হয়েছেন ৩৬১ জন এবং আহত হয়েছেন ৩৪৮ জন। নিহতদের মধ্যে ৩২ শিশু ও নারী রয়েছে ৫৭ জন।
গত মে মাসের তুলনায় জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি উভয়ই বেড়েছে। মে মাসে ২১৩ টি দুর্ঘটনায় ২৯২ জন নিহত হয়েছিলেন। এই হিসাবে জুন মাসে দুর্ঘটনা ৩৯.৪৩% এবং প্রাণহানি ২৩.৬৩% বেড়েছে। দুর্ঘটনায় ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ২৭৭ জন, অর্থাৎ ৭৬.৭৩%।
৭টি জাতীয় দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে বলে জানায় সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এককভাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। ১০৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯৪ জন, যা মোট নিহতের ২৬.০৩ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৪.৬৮ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৭৬ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২১.০৫ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪৯ জন, অর্থাৎ ১৩.৫৭ শতাংশ। এই সময়ে ১১টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৫৬ জন নিহত ও ২৩ জন নিখোঁজ হয়েছেন। ৬টি রেল দুর্ঘটনায় নিহত ৭ জন।
সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ফিটনেসবিহীন গাড়ি, দ্রুতগতি, অদক্ষ চালক, চালকের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ ১০টি কারণ তুলে ধরে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনতে দক্ষ চালক বাড়ানো, সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার, চালকদের কাজের সময় নির্ধারণ, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেয় সংস্থাটি।
নিউজবিডি৭১/এম কে / ০৫ জুলাই ২০২০