ঢাকা : করোনা ভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে বৈশ্বিক অর্থনীতি। বিশ্বের অধিকাংশ কারখানা, প্রতিষ্ঠানই কার্যত বন্ধ রয়েছে। তবু প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ের মধ্যেই ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়ন করতে চলেছে বাংলাদেশ।
মানুষের জীবন রক্ষা আর জীবিকার নিশ্চয়তা দিতে ‘অর্থনৈতিক পথ পরিক্রমা’ শিরোনামে ২০২০-২১ অর্থবছরে আসছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট। যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ১৩.২ শতাংশ বেশি। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের আকার ৫ লাখ ১ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের ঘাটতির চেয়ে ৩৬ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬শ’৮ কোটি টাকা।
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে মোট ব্যয়ের দুই তৃতীয়াংশই ধরা হয়েছে অনুন্নয়ন ব্যয় বা সরকারী কর্মচারীদের বেতন-ভাতায়। এর পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরে সরকারী কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় খরচ হয়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ২৮০ কোটি টাকা।
এছাড়া অভ্যন্তরীণ ঋণ পরিশোধে ব্যয় হবে ৫৮ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা ও বৈদেশিক ঋণের সুদবাবদ ব্যয় হবে ৫ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। ঋণ পরিশোধে ব্যয় বাড়বে ৬ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা।
এদিকে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ব্যয় করা হবে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। এডিপি বহির্ভূত প্রকল্পের উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৭২২ কোটি ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচিতে যাবে ২ হাজার ৬ শ’৫৪ কোটি টাকা। অন্যান্য উন্নয়ন খাতের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৬ শ’২৪ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমি মনে করি এটি একটি চ্যালেঞ্জের মধ্যে বাজেট। করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজেট।
ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৮৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা, বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ ৭৬ হাজার ৪ কোটি টাকা, বৈদেশিক সহায়তা ৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা ও অন্যান্য খাতের সহায়তা ধরা হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা।
নিউজবিডি৭১/এম কে / ১০ জুন ২০২০